আজ ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চন্দনাইশে বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজ আদায়

Spread the love

চন্দনাইশ প্রতিনিধিঃ

সারাদেশের ন্যায় গ্রীষ্মের দাবদাহে অতীষ্ট চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশের জনজীবন। তাপদাহে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। তাপমাত্রার পারদ দিন দিন বাড়ছে। মানুষ ও প্রাণীকুল সবাই হাসফাস করছে। এ অবস্থায় বৃষ্টির প্রহর গুনছেন মানুষ। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে চট্টগ্রামের চন্দনাইশে বৃষ্টির জন্য ছৈয়দ মোহাম্মদ পাড়া রহমানিয়া আহমদিয়া এ, এস সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা, এতিমখানা ও হেফজখানা পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে সালাতুল ইস্তিস্কার নামাজ আদায় করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। এতে সর্বস্তরের মুসল্লিরা এই নামাজ আদায় করতে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত শতশত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশ গ্রহণ করেন। নামাজের ইমাম প্রথমে মুসল্লিদের উদ্দেশে নিয়মকানুন বলেন। এরপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন।

নামাজ শেষে দুই হাত তুলে প্রচণ্ড গরম,তীব্র তাপপ্রবাহ ও খরা থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টি চেয়ে মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করে মোনাজাত করা হয়।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় চন্দনাইশ পৌরসভাস্থ ৮নং ওয়ার্ড দক্ষিণ গাছবাড়িয়া ছৈয়দ মোহাম্মদ পাড়া রহমানিয়া আহমদিয়া এ, এস সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে খোলা আকাশের নিচে ইস্তিসকার (বৃষ্টির জন্য যে নামাজ পড়া হয়) এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করা হয়।

নামাজে ইমামতি করেন ছৈয়দ মোহাম্মদ পাড়া শাহী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ নেজামুদ্দীন আলকাদেরী। তীব্র গরমে সূর্যের তাপ উপেক্ষা করে এ নামাজে মুসল্লিরা অংশ নেন। নামাজ শেষে মহান আল্লাহর দরবারে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনায় কান্নায় ভেঙে পড়েন মুসল্লিরা।
নামাজ শেষে বৃষ্টির আশায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ সময় মুসল্লীরা কেঁদে কেঁদে আল্লাহর দরবারে দুই হাত তুলে চন্দনাইশ তথা পুরো বাংলাদেশে বৃষ্টি বর্ষণের জন্য দোয়া করেন।

নামাজ শেষে মাওলানা মোহাম্মদ নেজামুদ্দীন আলকাদেরী বলেন, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় মানুষ পানির জন্য খুব বিপদে আছে। বৃষ্টি বা পানির জন্য আল্লাহ সালাতের মাধ্যমে চাইতে বলেছেন।

আল্লাহর কাছে চাওয়া সুন্নাত। আর চাওয়াকে আরবিতে সালাতুল ইস্তিস্কার বলা হয় অর্থাৎ পানির জন্য দোয়া বলা হয়। তিনি আরও বলেন, রাসুল (সাঃ) এই নামাজের সময় তার দু-হাত উল্টে করে মোনাজাত করতেন। তার মানে তিনি পরিস্থিতির পরিবর্তন চাচ্ছেন। আমরাও উনার মতো করে করার চেষ্টা করেছি।

রহমানিয়া আহমদিয়া এ, এস সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহাজ্ব অধ্যাপক মো. তৈয়বুর রহমান বলেন, আমরা এই তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে মহান আল্লাহর কাছে বৃষ্টি প্রার্থনা করে এই নামাজ আদায় করেছি।

চন্দনাইশ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মো. নুরুল আলম বলেন, সারাদেশে যেভাবে প্রচণ্ড গরম পড়তেছে সেজন্য আমরা সকলকে নিয়ে বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজ আদায় করেছি যাতে করে আল্লাহ তাআলা আমাদের উপর রহমতের বৃষ্টি বর্ষণ করে।

কয়েক দিনের টানা তাপদাহে পুড়ছে রাজধানী ও চট্টগ্রামসহ সারা দেশ। আর এই দাবদাহ থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে বিশেষ নামাজ আদায় করা হয়।
আমরা সালাতুল ইস্তিসকা নামাজ আদায় করেছি ইনশাল্লাহ আল্লাহতালার পক্ষ থেকে ভালো একটি ফয়সালা হবে।

নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি এবং গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর